পোস্টগুলি

মঙ্গলের উপগ্ৰহ ফোর্বস এর প্রথম ছবি ধরলো ইসরোর মহাকাশযান!

ছবি
গত ১ জুলাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মার্স অরবিটার মিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মঙ্গল গ্রহের বৃহত্তম চাঁদ ফোবোসের ছবি। এটি ইসরোর জন্য এক বিশাল বড় সাফল্য, কারণ এই প্রথমবার ফোবোসের ছবি তুলতে সক্ষম হল মঙ্গলযান। জানা গিয়েছে ছবিটি তোলার সময় মঙ্গলযান মঙ্গলগ্রহ থেকে ৭২০০ কিলোমিটার এবং ফোবোসের থেকে ৪২০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। ফোবসের যে অংশের ছবি মঙ্গলযান তুলেছে, সেখানে উপগ্রহের সবচেয়ে বড় গহ্বর ক্রেটার স্টিকনি স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া আরও অন্যান্য গহ্বর যেমন স্কলভস্কি, রোচে, গ্রিলড্রিগও ছবিতে ধরা পড়েছে। এই সব গহ্বর থেকেই আন্দাজ করা যায়, এক সময় কত গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল এই ফোবসের ওপর।   মঙ্গলযানের যাত্রা:- ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসের পাঁচ তারিখ শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি রকেটের সাহায্যে মঙ্গলযান উৎক্ষেপণ করে ইসরো। গোটা মিশনের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ইসরো। ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে যেতে সক্ষম হয় মঙ্গলযান। এরপর ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লাল গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছে যায় মঙ্গলযান। সবার আশা ছাপিয়ে গিয়ে কাজ করে চলেছে মঙ্গলান ইসরোর এই মঙ্গলযান মিশন প্রথমে ছয় মাসের জন

নিউটন তারার সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধেছে ব্লাকহোলের!!

ছবি
তারার সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছে ব্লাকহোলের মহাকাশে ধুন্ধুমার! যুদ্ধ বেধে গেছে। এক ভয়ানক যুদ্ধ। তার রেশ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। উত্তাল হয়ে উঠেছে মহাশূন্য। এক শক্তিশালী আলো ঢেউ আছড়ে পড়ছে মহাকাশে। জন্ম হচ্ছে জোরালো মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। পৃথিবীর খুব কাছেই। তারায়-তারায় যুদ্ধ বেধেছে কি?  নাকি তারার সঙ্গে টক্কর হচ্ছে বিশাল দৈত্যাকার কোনও ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের? মহাকাশবিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের থেকেও ভারী, দশাসই কোনও নিউট্রন তারার সঙ্গে অশান্তি চলছে পেল্লায় এক ব্ল্যাকহোলের। তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছে একে অপরের দিকে। টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে নিজের দিকে। মহাজাগতিক বস্তুদের মধ্যে সংঘাত এতটাই তীব্র যে তার ধাক্কায় উথালপাথাল হচ্ছে মহাশূন্য। পৃথিবী থেকে ৮০ কোটি আলোকবর্ষ দূরেই এই যুদ্ধ চলছে। নিউট্রন তারা এবং ব্ল্যাকহোলের এই লড়াইয়ে অন্য কেউ মদত দিচ্ছে কিনা সেটা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। তাই মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন রহস্যময় কোনও মহাজাগতিক বস্তু (Mysterous Object) থেকে এক জোরালো মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। গান্ধীনগরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও চেন্নাইয়ের ম্যাথেমেটিক্যাল ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা  ‘লা

চাঁদে টয়লেটের ডিজাইন করে দিলেই পেয়ে যাবেন গরম গরম ২৬ লক্ষ্য টাকা!

ছবি
নাসা চাঁদে বানাবে টয়লেট ২০২৪ সালেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। প্রথমে এক মহিলা মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং পরে একজন পুরুষ চাঁদে যাবেন বলে ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু চাঁদে কেমন হবে কমোডের প্যান? এই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের। আর আপনি যদি এই সমস্যার নিরসন করতে পারেন, তবে হাতে গরম পেয়ে যাবেন ২৬ লাখ টাকা পুরস্কার। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, চাঁদের মাটির জন্য সঠিক টয়লেটের ডিজাইন করে দিতে পারলেই মিলবে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ।  সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা টয়লেটের ডিজাইন চেয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। যা ভবিষ্যতে চাঁদের জমিতে তৈরি বাড়িতে রাখা হবে। প্রথম পুরস্কার ২০ হাজার ডলার, দ্বিতীয় ১০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ৫ হাজার মার্কিন ডলার। নাসার বক্তব্য, এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য মানুষের বর্জ্য কীভাবে সংরক্ষণ করে তাকে অন্য কাজে লাগানো যায় সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা প্রচার। উল্লেখ্য মহাকাশে উপস্থিত মহাকাশ যানে থাকা টয়লেটগুলি সামান্য মহাকর্ষ শক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ধরনের টয়লেটগুলি চাঁদের মাটিতে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। কারণ চাঁদের মধ্যাকর্ষণ শক্

সামান্য ভূমিকম্পেই কোলকাতা চলে যেতে পারে মাটির তলায়

ছবি
    সামান্য ভূমিকম্পেই কি কলকাতার হাল হতে পারে ভূজের মত? বিস্তারিত জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক সুবীর মুখোপাধ্যায়। প্রতিদিন ৫০ বার কেঁপে ওঠে পৃথিবী। কিন্তু আমরা তার কিছুই টের পাই না। সারা বছরে ১৭ হাজারের উপর ভূমিকম্প হচ্ছে তার মধ্যে গড়ে ১৬ থেকে ১৮টা কম্পন ভয়ংকর রূপ নেয়। অর্থাত্‍ রিখটার স্কেলে এই কম্পনমাত্রা ৭-এর উপরে থাকলে তবেই তা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তবে কোনও বছর এর থেকে বেশিও হতে পারে। যেমন ২০১০ সালেই ২৪টা ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছিল।  এখানেই শেষ নয়, কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে আটের বেশি হলেই তা অতি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তবে কলকাতার জন্য অতটাও প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি গুজরাত (Gujrat) ৫.৫ কম্পনমাত্রায় কেঁপে উঠেছে। এটুকু হলেই ২০০১-এর ভুজের থেকেও খারাপ হাল হবে তিলোত্তমার। এর প্রধান কারণ কলকাতার পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন। মাটির তলাটা পুরো ফোঁপরা হয়ে রয়েছে। সিসমোলজিক্যাল মাইক্রোজোনেশন ম্যাপ তৈরি করেছে আইআইটি খড়গপুর। সেখানেই দেখা গিয়েছে এ শহরে ভূগর্ভের জলস্তর অনেক উপরে। সামান্য নিচে রয়েছে নরম পলিমাটি। ভূমিকম্পে মাটির তলায় ঢুকে যেতে পারে পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ। ফলে চরম বিপ

নেপচুনের উপগ্ৰহ ট্রাইটন থেকে কেনো বের হচ্ছে বরফের ছটা? উত্তর খুঁজতে গবেষণায় নামছে 'NASA'

ছবি
।। নেপচুনের উপগ্ৰহ ট্রাইটন।। গবেষণায় নামতে চলেছে নাসা।। সৌরজগতে যে কটি গ্রহ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে দূরে রয়েছে নেপচুন। আর এই নেপচুনের উপগ্রহকে নিয়েই এবার গবেষণা করতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। নেপচুনের উপগ্রহ ট্রাইটনের ভূপ্রকৃতি, কোনো সমুদ্র, বা জলের কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা এছাড়াও নেপচুনের এই উপগ্ৰহ থেকে বরফের ছটা কেনো বের হচ্ছে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চাইছে NASA । সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালেই টাইট্রনের উদ্দেশে মহাকাশ যান পাঠাবে নাসা। সৌরজগতে সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে রয়েছে নেপচুন। এই গ্রহের একটি উপগ্রহ ট্রাইটন। এই উপগ্রহটি সম্পর্কে জানতে আজ থেকে ৩০ বছর আগে নাসা গবেষণার জন্য একটি মহাকাশ যান পাঠিয়েছিলো। মহাকাশ যান ভয়েজেস ২ দিয়ে উপগ্রহটির ৪০ শতাংশ ছবি তোলা সম্ভব হয়েছিল। এবার আবার ও নতুন কিছু অজানা তথ্য পেতে নাসাকে ‘ট্রাইডেন্ট’ মিশন লঞ্চ করতে চলেছে।  পুরো উপগ্রহের উপরিভাগে কী কী আছে, কোনো সমুদ্র আছে কিনা ও ভূমি থেকে বরফের ছটা কেনো বের হচ্ছে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করতে চাই নাসা।  উপগ্রহটিতে কেনো বরফের ছটা বের হচ্ছে সে প্রশ্নটিই গবেষকদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ সূর্যের অনেক দূ