তাহলে কী ভিনগ্ৰহে পাওয়া গেলো প্রাণের অস্তিত্ব?




এই মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়া আর কোনও জীবন নেই! অথচ আমাদের মতো কয়েক মিলিয়ন পৃথিবী সমস্ত মহাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন। পৃথিবীর মত বিজ্ঞানীরা আরও অনেক গ্রহ খুঁজে পেয়েছে, তবে এর মধ্যে জীবন রয়েছে কিনা তা এখনও অধরা থেকে গেছে।


 
তবে সম্প্রতি জার্মানির গ্যাটিনজেনে সোলার সিস্টেম রিসার্চ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষণারত বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে তারা এমন একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন যেখানে জীবন থাকতে পারে। কারণ গ্রহটির সম্মুখে থাকা নক্ষত্রটির স্বভাব – চরিত্র আমাদের সূর্যের সাথে মিলে যায় ।


গবেষণায় অস্তিত্ব পাওয়া গেছে কেওওয়াই-৪৫৬ গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে। যে নক্ষত্রটিকে গ্রহগুলি প্রদক্ষিণ করছে সেটি কেপলার -১৬০ বলে অভিহিত। ‘রেড ডোয়ার্ফ’ প্রজাতির নক্ষত্রগুলো যতগুলো সৌরজগৎ আবিষ্কৃত হয়েছে সেইসব সৌরজগতের কেন্দ্রস্থল। ‘রেড ডোয়ার্ফ’ প্রজাতির তারাগুলির তাপমাত্রা কম থাকে এবং এগুলো থেকে ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় ইনফ্রারেড রশ্মি নির্গত হয়। কম তাপমাত্রার কারণে এগুলিকে লালচে হয়। 


কিন্তুু কেপলার -১০৬ তারা সূর্যের মতো আলো ছড়িয়ে দেয়। এর ইনফ্রারেড রশ্মি নিঃসরণের হারও বেশ কম। একই সময়ে, নক্ষত্র থেকে কেওওয়াই-৪৫৬ গ্রহের দূরত্বও জীবনের অস্তিত্বের জন্য উপযুক্ত, বিজ্ঞানীরা মন্তব্য প্রকাশ করেছে ।





গবেষকদের দাবি যে কেপলার -১০৬ কে কমপক্ষে তিনটি গ্রহ প্রদক্ষিণ করে। তবে এখনও অনেক গবেষণা চলছে, তাই সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব হয়নি। নাসা এবং ইএসএ শীঘ্রই যথাক্রমে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবং প্লেটো টেলিস্কোপ ইনস্টল করবে। তার প্রস্তুতি চলছে। একবার টেলিস্কোপটি দিয়ে গবেষণা করার পরে, গ্রহটি সম্পর্কে আরও বেশি জানা এবং তারপরে আমরা নিশ্চিত হব যে পৃথিবী ছাড়াও আর কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা!

     
                                Geography Organization


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আগামী রবিবার দেখা যাবে মহাজাগতিক দৃশ্য 'রিং অফ ফায়ার'

রাজস্থানে আঘাত আনলো উল্কার ধাতব খন্ড?

ডাউনলোড করুন আমাদের Geography Organization - এর অ্যাপ