মাত্র এক সেকেন্ডের ও কম সময়ে সৃষ্টি হয়েছিল মহাবিশ্ব ।। Big bang theory

 

এইপত্রিকাটি সারা ভারত ভূগোল ছাত্র সংগঠন দ্বারা পরিচালিত  

          কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল এই মহাবিশ্বের?

পৃথিবী সহ এই বিশাল মহাবিশ্বের কীভাবে হয়েছে সেই রহস্যের কোনো শেষ নেই। আজ ও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষ কিন্তুু এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি সহ একাধিক বিষয়ই মানুষের কাছে রহস্য থেকে গিয়েছে।


            আমরা প্রত্যেকেই কখনো না কখনো এটা ভেবেছি যে আমাদের এই  পৃথিবী সহ এই বিশাল মহাবিশ্বের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? বিজ্ঞানীদের দেওয়া এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু তত্ব দিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো।
             
        এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন তাদের মধ্য সব চেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য তত্ব হলো 'বিগ ব্যাঙ' তত্ব।


এই তত্ত্বে বলা হয়- প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের পর, ছোট্ট একটা বল থেকে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছিলো।

এই 'বিগ ব্যাঙ' তত্বের পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন রকমের মতামত আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দাবি, এই তত্বের সমাথর্তনে তারা এমন কিছু নতুন তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন যা এই বিগ ব্যাঙ তত্ত্বকে সমর্থন করছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মহাজগতের সবকিছু সৃষ্টি হওয়ার আগে,যে অসম্ভব রকমের দ্রুত গতিতে মহাকাশ সম্প্রসারিত হয়েছিলো, তার কিছু প্রমাণ তারা মহাকাশে খুঁজে পেয়েছেন।

বিজ্ঞানীদের দাবি এই মহাবিশ্বের সবকিছুই সৃষ্টি হয়েছিলো এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে। আর কোটি কোটি বছর আগের সেই ঘটনায় যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিলো, বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তারা সেই আলোর কিছু তরঙ্গ টেলিস্কোপের সাহায্যে ধরতে পেরেছেন।

এই 'বিগ ব্যাঙ' তত্বের সমাবর্তনে আরও প্রমাণ খুঁজতে অ্যামেরিকার একদল বিজ্ঞানী এক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, যার নাম বাইসেপ –টু। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে আকাশের ছোট্ট একটা অংশে তারা টেলিস্কোপের সাহায্যে নজর রাখছেন।

তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রচন্ড বিষ্ফোরণের ফলে মহাজগতের সম্প্রসারণের সময় যে তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে তার কিছু চিহ্ন খুঁজে বের করা।

প্রচন্ড বিষ্ফোরণে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের ঘটনা ঘটেছিলো এক সেকেন্ডের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ভাগেরও কম সময়ের মধ্যে।

 বিগ ব্যাঙ বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে আলোক তরঙ্গ। এ কারণেই সৃষ্টি হয় মহাকর্ষণের, যার ফলে এই সৌরজগতে নক্ষত্র, গ্রহ সবকিছু একটা আরেকটাকে টেনে ধরে রাখছে।

মহাজগতের এই সম্প্রসারিত হওয়ার ধারণা প্রথম আলোচনায় আসে আশির দশকের শুরুতে।

অ্যামেরিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তারা এখন মহাকাশ সম্প্রসারিত হওয়ার কিছু তথ্য প্রমাণকে ধরতে পেরেছেন। তারা এর নাম দিয়েছেন বি-মোড পোলারাইজেশন।

বিজ্ঞানীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর মহাকর্ষণ-জনিত শক্তির কারণেই মহাবিশ্বে এই আলোর তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে যা ধরা পড়েছে বিজ্ঞানীদের টেলিস্কোপে।


        এই বিষয়ে মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আগামী রবিবার দেখা যাবে মহাজাগতিক দৃশ্য 'রিং অফ ফায়ার'

রাজস্থানে আঘাত আনলো উল্কার ধাতব খন্ড?

ডাউনলোড করুন আমাদের Geography Organization - এর অ্যাপ